Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাংগঠনিক কাঠামো।

ইউনিয়ন পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামোঃ

 

ক) সাংগঠনিক কাঠামোঃ

 

বৃটিশদের আগমনের পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পদ্ধতি বিরূপ ছিলো সে সম্পর্কে খুব একটা নির্ভরযোগ্য দলিল পাওয়া যায় না। অধিকাংশ গায়ে পঞ্চায়েত প্রথা ছিলো। গণ্যমান্য বয়স্ক ৫জন নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। এসব পঞ্চায়েতের কোনো আইনগত ভিত্তি ছিলো না এবং ১৮৭০ সালে গ্রাম চকিদারী আইন পাশ হয়। এ আইনের অধীনে পলস্নী অঞ্চল ইউনিয়নে বিভক্ত করা হয়। কয়েকটি গ্রামকে ইউনিয়নে অমত্মর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নের আয়তন ছিলো প্রায় ১০ থেকে ১২ বর্গ মাইল। চৌকিদারী পঞ্চায়েত প্রথা সদস্যগণ গ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হয়ে সরকারি কর্মচারী রম্নপে বিবেচিত হতেন। তারা চৌকিদারি কর আদায়, তহবিল গঠনে অনেক সময় অযোগ্য বলে বিবেচিত হতেন। ১৮৮৫ সালে স্থানীয় স্বাত্বশাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য সদস্য সংখ্যা ছিলো ৫ থেকে ৯জন এবং সদস্যগণ গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন। সুনির্দিষ্ট কোনো কাজ না থাকলেও কিছু কিছু কাজ করতেন। কর আদায়ের  ক্ষমতা ছিলো না। ১৯১৯ সালে বাংলা  পলস্নী স্বায়ত্ব শাসন আইন এর অধীনে চৌকিদারী পঞ্চায়েত এবং ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করে ক্ষমতা ছিলো ৩ বছর। ১৯৫৯ এর অধীন ইউনিয়ন বোর্ডের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল। মোট সদস্য সংখার দুই তৃতীয়াংশ সদস্য মনোনয়ন দান করতেন। ১৯৬২ শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা যায়। সদস্যগণ নির্বাচনের মাদ্যমে তাদের সব থেকে একজন চেয়াম্যান ও একজন ভাইস চেয়াম্যান নির্বাচিত হতেন। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক ও বিবাহ আইনের অধীন সদস্যদেরকে বিচার দেওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দায়িত্ব পালনে অধিকাংশ সময় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর কালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২.১৯৭২ বলে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিল করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পঞ্চায়েত এর নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যেক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৯ জন সদস্য, একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাহিত হতেন। ১৯৭৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে বেশ পরিবর্তন ঘটে। ১৯৮৩ সালে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ প্রবর্তনের ফলে এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রত্যক ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান, ৯জন সাধারণ সদস্য এবং সংকত আসনে ৩জন মহিলা সদস্যসহ ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। একে পৌরম রাজস্ব ও প্রশাসন, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক কার্যাদি সম্পাদনসহ মোট ১০টি বাধ্যতামূলক এবং ৩৮টি ঐচ্ছিক দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

 

·        আইন-শৃংখলা রক্ষা করা এবং এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা।

·        অপরাধ বিশৃংখলা এবং চোরাচালান দমনার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা।

·        কৃষি, বৃক্ষরোপন, মৎস ও পশু পালন স্বাস্থ্য, কুটির শিল্প, সেচ যোগাযোগ।

·        পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রসার ঘটান।

·        স্থানীয় সম্পদের উন্নয়ন  ঘটনো এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করা।

·        জনগণের সম্পত্তি যথা-রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, খাল, সৌর বিদ্যুৎইত্যাদি সংরক্ষণ।

·        ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ বিষয়ে সুপারিশ করা।

·        স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ প্রদান করা।

·        জন্ম-মৃত্যু,অন্ধ, ভিক্ষুক ও দুস্থদের নিবন্ধন করা।

·        সব ধরণের শুমারী পরিচালনা।

·        বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, গ্রাম আদালত, শালিস, উন্নয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন, সরকারের পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিভিন্ন সেবা প্রদান, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র প্রদান, নিরাপদ পানি সরবরাহ, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট নির্মান ইত্যাদি।